মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

ভারি বর্ষণ এবং জোরালো বাতাসের কারনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ডুমুরিয়ার পেঁপে চাষীরা। 

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১

ভারি বর্ষণ এবং জোরালো বাতাসের কারনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ডুমুরিয়ার পেঁপে চাষীরা।

 

অয়ন সরকার,ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ

 

খুলনার ডুমুরিয়া অঞ্চলে গত বুধবার (২৮ শে জুলাই) সকাল থেকেই চলছিল হালকা বৃষ্টিপাত। মাঝেমধ্যে সেই বৃষ্টিপাত রুপ নেই ভারী বর্ষণেও।উক্ত দিন কখনো হালকা কখনো ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে গেলেও আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব দেখা দেয় পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৯ শে জুলাই)।

বুধবার সারা দিন ভারী বর্ষণ এবং জোরালো বাতাস দেখা যায়, যার এক বিশাল প্রভাব পড়ে এই এলাকার পেঁপে চাষিদের উপর। অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে ছোট-বড়-মাঝারি অনেক পেঁপে গাছই মাটি থেকে শিকড় বিচ্ছিন্ন করে জমির সাথে নেতিয়ে পড়ে। প্রতিটা গাছে ফলন খুব ভালো। তবে গাছ উপড়ে পড়ার কারণে পেঁপে গুলো এখন জমিতেই পড়ে আছে।

সেখানকার স্থানীয় পেঁপে চাষি রবিন সরকারের সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, করোনাকালীন লকডাউনে বাজার ঘাট বন্ধ থাকায় পেঁপের দাম অনেক কমে যায়। যার জন্য তারা পেঁপে গাছ থেকে না ভেঙে গাছেই রেখে দেয়। একটানা দুই দিন বৃষ্টিপাতে গাছের গোড়া নরম হয়ে যায়। সাথে জোরালো বাতাস এবং গাছে অতিরিক্ত পেঁপে থাকায় গাছ মাটি থেকে উপড়ে পড়ে। এখন তারা এই উপড়ে পড়া গাছগুলোর পেঁপে কাঁচামাল ফসল ব্যবসায়ীদের ডেকে খুব স্বল্প দামে বেচে দিচ্ছে। যেখানে তাদের পেপের স্বাভাবিক বাজার দামের মূল্য মণ প্রতি ৮০০-১০০০ টাকা হয়ে থাকে। সেখানে এখন তারা ঐ মূল্যের অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না।

তিনি আরো বলেন, উপচেপড়া এই গাছগুলো এখন তারা বাঁশের খুঁটির সাহায্যে সোজা করে আবার মাটিতে রেখে দিবে। এরফলে কিছু গাছ হয়তো বেঁচে যেতেও পারে,তবে ওই গাছ গুলোতে আর আগের মতো ফলন তারা পাবেন না। যা এই করোনাকালীন সময়ে তাদের জন্য এক বিশাল ক্ষতি স্বরূপ। তবে তারা এটুকুতেই খুশি যে তাদের কোন গাছ ভেঙে যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102