পটুয়াখালীতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
মিজানুর রহমান অপু,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
সারাদেশব্যপী টানা ১৪ দিনের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন শেষ হয়েছে গতকাল মধ্যরাতে।
গত (১জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হওয়া টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করা হয়েছে পটুয়াখালীতে।শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের কঠোর অবস্থান লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।লকডাউন নিশ্চিত করতে তাদের পদক্ষেপ ছিলো কঠোর।
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছেন।লকডাউনের প্রথম সাত দিনে সংক্রান্ত রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নিমূল)আইন ২০১৮ ‘দণ্ডবিধির ১৮৬০ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন আটটি উপজেলায় মোট ১২৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন।১০৫২ জনকে মামলা দিয়ে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮শ’৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।১০৫২ টি মামলায় মোট ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮শ’৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (০১জুলাই) ভোর ০৬টা থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসন।
টানা ১৪ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের সেনা-কর্মকতারা দরিদ্র মানুষের মাঝে পটুয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন।
আজ থেকে আগামী সাত দিনের জন্য সারাদেশে লকডাউন শিথিল ঘোষনা করেছেন সরকার।
লকডাউন উঠে যাওয়ায় একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন পটুয়াখালীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
গত (১ জুলাই) থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন সফলভাবে পালন করা হয়েছে পটুয়াখালীতে।
তবে টানা ১৪ দিনের এই লকডাউনে বিপাকে পড়েন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।লকডাউনের কারনে সবকিছু বন্ধ থাকায় বেচা-কেনা বন্ধ,অর্থাভাবে অনেক কঠিন সমস্যার মধ্যে দিন পাড় করেছেন সল্প আয়ের ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে লঞ্চঘাট এলাকার চা বিক্রেতা আবুল তালুকদার ও মোসাঃ রীনা বেগম জানান,
‘আমরা দিন আনি,দিন খাই।আমরা বুঝি করোনা মহামারী অনেক ভয়ংকর,লকডাউন না দিলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে।তবুও পেটের তাগিদে আমরা অসহায়।ঘরে বাজার না থাকলে খামু কি?আমাদের সংসার চলে এই চা বিস্কুট বিক্রি করে।সবকিছু বন্ধ থাকায় ঘরের সবাইরে নিয়া খুবই কষ্টে এই ১৪ দিন কাঁটছে।
লকডাউন খুলে দেওয়ায় মনে হয় ঈদের খুশির থেকেও খুশি হইছি।এই সাতদিন বেচা-কিনা করমু। এখন একটু চিন্তা মুক্ত আমরা।’