নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আসামি নোমান মিঠুকে সোমবার (১৬-নভেম্বর-২০ ইং) তারিখ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতে হাজির করা হলে ঐ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার অপারেশন ইনেসপেক্টর রফিকুল ইসলাম আসামির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) আসিফ এলাহি ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত মূলক অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে নোমান মিঠুকে গত, শুক্রবার(১৩ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলা আউলিয়াপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেফতারকৃত নোমান শহরের আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা। এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।তার পুরো নাম আবদুল্লাহ আল নোমান মিঠু হলেও ফেইস বুকে নোমান মিঠু নামে পরিচিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে নোমান তার ফেইসবুকের নিজের পেইজে দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সরকারী প্রতিষ্টানে আরবিতে কলেমা লেখা, নারীদের হিজাব ও বোরকা পড়া কুসংস্কার , রমজান মাসে সেহরির আগে আযান দেয়া ঘুমের ব্যাঘাত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলো। এ নিয়ে শহরে দুইদিন ধরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠে।
এ নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজবাদ শহরের বিভিন্ন স্থানে নোমান মিঠুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদক্ষিন করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।যা নিয়ে স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসলমানদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠার সৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠে।বিষয়টি পটুয়াখালী জেলা পুলিশের নজরে আসলে গুরুত্বসহকারে নিবিড় পর্যবেক্ষন করে শুক্রবার দুপুর থেকে তাকে আটকের জন্য অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৫টায় আউলিয়াপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এবং তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।