করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে চাপে আছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এক সপ্তাহের মধ্যে গত সোমবার (২৪ আগস্ট) দ্বিতীয়বার তাকে হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে। এনিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জাপানে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থা সবার সামনে তুলে ধরতে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন আবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সেখানে স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জাপানের সরকার প্রধান।
জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে’র বরাত দিয়ে জাপান টাইমস ও ব্লুমবার্গ টুইট করেছে, ‘শিনজো আবে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।’ এনএইচকে বলেছে, স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণে সরকারের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে চান না আবে। তাই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলতে যাচ্ছেন তিনি।
আবেকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল গত ১৭ আগস্ট টোকিওর একটি হাসপাতালে দেখা যাওয়ার পর। অবশ্য তার দলের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হাসপাতালে যাওয়া। ওইবার সাড়ে ৭ ঘণ্টা হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফেরেন শিনজো আবে। তবে আবে যে মানসিক অবসাদে ভুগছেন তা অস্বীকার করেননি তারা।
এক সপ্তাহ না যেতে আবারও আবেকে হাসপাতালে দেখা গেছে। সরকারি সূত্র বলেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল জানতেই এবার সেখানে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব শঙ্কা কাটাতেই শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবেন আবে। কিন্তু তার আগেই সংবাদমাধ্যমের খবর মেয়াদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও তা শেষ না হতেই বিদায় নেবেন জাপানের দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী।
৬৫ বছর বয়সী আবে ২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, এখনও তিনি সরকারের নেতৃত্বে। এর আগে আলসারেটিভ কোলাইটিসে ভোগার কারণে ২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। চিকিৎসা করে এই অসুখ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন অ্যাবে। কিন্তু এ মাসে তার স্বাস্থ্য নিয়ে গুঞ্জন তোলে কিছু জাপানি মিডিয়া। তার হাঁটার গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ফ্ল্যাশ জানায়, গত ৬ জুলাই তার অফিসে রক্তবমি করেছিলেন অ্যাবে। এই প্রতিবেদনের সত্যতা খুঁজে পায়নি রয়টার্স।
এএসবিডি/আরএইচএস