গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে টানা বর্ষণ দ্বিতীয় দিন শুক্রবারও অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ঢাকায় টানা ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগ তৈরি করেছে জলাবদ্ধতা।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়কগুলো প্রায় জনশূন্য। অফিস-আদালত না থাকায় বাইরে মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কারওয়ান বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গাড়ি চলাচল ছিল খুবই কম।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, ২৯ মে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর রাত ৯টা থেকে এখন পর্যন্ত ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকাসহ দেশের ১৩টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এই পূর্বাভাস জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঢাকাসহ পাবনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলে এই ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রপাত ও বৃষ্টিও হতে পারে একই সময়ে। এইসব জেলার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন দেশের প্রায় সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী, এমনকি অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। এতে করে নদীপথে চলাচলকারী যানবাহনসহ সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।