১৩ মে সোমবার দুপুরে এই উপজেলার তাপমাত্রা ৩৯° ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা শ্রমজীবী মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
স্থানীয় কৃষক, ধান খেতে কাজ করা মজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে, তবুও জীবিকার তাগিদে তারা বাধ্য হচ্ছেন মাঠে নামতে।
রাজমিস্ত্রী শ্রমিক আঃ হান্নান বলেন, ‘গরমে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, কিন্তু কাজ না করলে খাব কী?’
তাপদাহের কারণে উপজেলার কৃষিকাজেও প্রভাব পড়েছে। বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও, মাঠে কাজ করতে গিয়ে অনেক কৃষক হিটস্ট্রোকের আশঙ্কায় ভুগছেন। বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে গেলেও চলছে মাড়াইয়ের কাজ।
একজন দিনমজুর বলেন, ‘পাঁচ দশ মিনিট রোদে থাকলেই চোখে অন্ধকার দেখি। মাথার উপর তীব্র রোদ, কোথাও কোন বাতাস নেই। তবু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করতে হয়।’
রামপাল খেয়াঘাটের আসিব হাসানসহ একাধিক মাঝি জানান, তীব্র তাপদাহে কারণে নৌকায় যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। অনেক মাঝি কাজে আসতে পারছে না।
উপজেলার একাধিক ভ্যান চালকও একই পরিস্থিতির কথা বলেন। তবে অনেকেই জানান, কাজ না করলে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তারা বাধ্য হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারি তীব্র গরমে ডায়েরিয়ার রোগী স্বাভাবিক রয়েছে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল বলেন -গরমে অতিরিক্ত ঘেমে অনেকে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলাব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ টক ফল ও সবজি খেতে হবে।বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে পরিমাপ মতো। ফ্রিজ রাখা বাসি খাবার পরিহার করতে বলেন।