সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা-বাউফল থেকেঃ
শখের বশে কবুতর কিনেছেন বছর ৪আগে। নিজ বাড়িতে শখ করে মাত্র ২৫০টাকায় এক জোড়া কবুতর কিনে পালন করে এখন সফল কবুতর খামারি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোঃ হারুন বেপাড়ীর ছেলে সোহাগ (১৫)। শখ এখন লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তার পরিবার। পৃথিবীর সব দেশেই দেখা যায় এ শান্তির প্রতীক কবুতর। বাংলাদেশসহ এ উপমহাদেশে কবুতর পালন করে অতি প্রাচীনকাল থেকে। জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি পারাবত।
জনশরুতি রয়েছে প্রাচীনকালে গৃহপালিত কবুতর চিঠির আদান-প্রদান করত। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পৃথিবীতে ২০০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে ৩০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। পূর্বে এ পাখিটি শখ করে পাল করা হতো। এখন সেই শৌখিনতা থেকে লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সোহাগ এর বাড়ি বর্তমানে বাঁশবাড়িয়া রজ্জাবিয়া দাখিল মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থী তিনি। লোখা পড়ার পাশাপাশি নিজ বসত ঘরে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালন করছেন এবং এতে লাভবান হয়েছেন।
মোঃ সোহাগ জানান, শখ করে কবুতর পালন করে এখন লাভজনক পেশা ও ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। জালালি, গিরিবাজ, শুয়াচন্দন, কালোদম, গিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালন করছেন। প্রত্যেক জাতের কবুতরের জন্য আলাদা আলাদা খাঁচা রয়েছে। বর্ষায় বিক্রির পওে বিভিন্ন জাতের ৪০-র বেশি কবুতর রয়েছে। গম, চাল, ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষা, ধান, চাল, ছোলা বুট, মটর ডালসহ পরিমিত পানি দিনে দু-তিনবার দিতে হয়। এতে প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা খরচ করতে হয়। তিনি বলেন, কবুতরের বেশি খাবারেরও প্রয়োজন হয় না। প্রতিদিন দু-তিনবার খাবার ও পানি দিলেই হয়, তবে নিয়মিত এর বিষ্ঠা পরিষ্কার করতে হয়। তিনি আরো বলেন, প্রতি মাসে সব খরচ বাদে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কবুতর বিক্রি করে আয় করেন।