দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর) ডেঙ্গুতে ৩২ জনের মৃত্যু এবং চার হাজার ২৭৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু এবং ৬৭৫ জন হাসপাতালে, ১ ডিসেম্বর ৬ জনের মৃত্যু এবং ৮৮২ জন হাসপাতালে, ২ ডিসেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৭০৫ জন হাসপাতালে, ৩ ডিসেম্বর ৭ জনের মৃত্যু এবং ৬২৯ জন হাসপাতালে, ৪ ডিসেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৬২৯ জন হাসপাতালে, ৫ ডিসেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৫৭০ জন হাসপাতালে, ৬ ডিসেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ১৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭০ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯২ হাজার ২০০ জন। মারা গেছেন ৫১৭ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।