ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ইসকন কর্তৃক আইনজীবী সাইফুলকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জজ আদালতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসকন কর্তৃক আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করার প্রতিবাদে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি উঠে সারা বাংলায়। তারই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।- ”ইসলামের শত্রুরা, হুশিয়ার সাবধান,
ইসকনের আস্থানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও। আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না। ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না। ইসকনের চামরা, তুলে নিবো আমরা”-এই সব বাক্যের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় তারাকান্দার রাজপথ। ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৪ টায় মিছিলটি কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ হতে শুরু হয়ে বড়পুলের কাছাকাছি হয়ে আবার মোর নিয়ে থানার সামনে দিয়ে শেরপুর – ময়মনসিংহের মহাসড়কের রাজপথ প্রদক্ষিণ হয়ে আবার বড় মসজিদের সামনে জমায়েত হতে দেখা যায়।
উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের নিপাতে উদ্দেশ্য মিছিলটির নেতৃত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ এসময় প্রতিবাদি ক্ষুব্ধ বক্তব্য রাখেন।
তারাকান্দা উপজেলার তৌহীদি জনতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিলটির আয়োজন করেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে উগ্রবাদী সংগঠন ইসকানের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করায় সারা দেশের ছাত্র-জনতা ইসকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানদেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সাইফুলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারের পর তার জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তার অনুসারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।