সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

ডিজিটালে আলমডাঙ্গা সাব রেজিস্টারের অনীহা : এমপি ও জেলা প্রশাসকের জোর হস্তক্ষেপ কামনা

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জনি আহমেদ, চুুয়াডাঙ্গা:ডিজিটাল কার্যক্রমে উন্নত হবে দেশ, কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারী দায়িত্বে অবহেলার কারণেই ডিজিটাল হিসেবে কম্পিউটার কম্পোজ দলিল লেখার কার্যক্রম শুরু করছেন না আলমডাঙ্গা সাব রেজিস্টার মামুন বাবর। বার বার বিভিন্ন পত্রিকা অনলাইন ও গণমাধ্যমে এহেন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর পক্ষ থেকে কয়েকবার সাব রেজিস্টারকে আল্টিমেটাম দেয়া হলেও কিছু দিন তা মানলেও পরে কোন্ খুঁটির জোরে তিনি আবার শুরু করেন বিভিন্ন অনিয়ম। যা একজন মূল্যহীন সরকারী সাব রেজিস্টার হিসেবে বিবেচিত হয়েছে আলমডাঙ্গাবাসীর কাছে।

যা এমন আধ্যাত্মিকমানের সাব রেজিস্টার এ জেলায় আগে কখনও আসেনি বলেও মন্তব্য জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এতে সরকারের প্রতি বদনাম বাড়ছে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের। যা রাজনৈতিকভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিজয়ের ডান হাত হিসেবে ১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন-এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, সরকার বার বার ডিজিটাল দেশ গঠন করার কথা বলছেন কিন্তু ডিজিটাল হিসেবে কম্পিউটার কম্পোজ দলিল লেখার কার্যক্রম চালু করতে কোন প্রকার দায়িত্ববোধ দেখতে পাচ্ছি না সাব রেজিস্টারের। আগের সেই অ্যানালগ সিস্টেম হিসেবে প্যাঁচানো হাতের লেখা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে দলিল লেখা কার্যক্রম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারীভাবে ডিজিটাল দেশ গঠনে যেখানে চেষ্টার অন্ত নেই; সেখানে একজন সামান‌্য সাব রেজিস্টার মামুন বাবর সরকারী বেতন নিয়েও দায়িত্বে অবহেলা দেখিয়ে দলিল লেখকদের উপর কোন প্রকার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন না তিনি।

কোন্ অজ্ঞাত কারণে সরকারী নিয়মকে অমান‌্য করে তিনি ডিজিটাল কার্যক্রম রেখে হাতের লেখা দলিল বন্ধ করছেন না, তা নিয়ে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপর।
তারা আরও বলেন, ডিজিটাল কার্যক্রম হিসেবে কম্পিউটার কম্পোজ দলিলে কোন প্রকার জাল জালিয়াতির সুযোগ থাকবে না মর্মে প্যাঁচানো হাতের লেখায় বেশিরভাগ দলিল লেখকদের সুবিধার্থে এবং নিজের ঘুষ বাণিজ্যের সুযোগ চালু রাখতে তিনি ডিজিটাল কার্যক্রম হিসেবে কম্পিউটার কম্পোজ দলিল লিখতে কোন প্রকার বাধ্যগতও করছেন না সাব রেজিস্টার মামুন বাবর।

এদিকে সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দায়িত্ববান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার সাব রেজিস্টারকে কম্পিউটারে দলিল লেখার নির্দেশ দিলেও তা থোড়ায় কেয়ার না করে নিজের ইচ্ছা মত চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যানালগ সিস্টেমের প্যাঁচানো হাতের লেখা দলিল। এতে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারাও দিন দিন ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাব রেজিস্টারের উপর।

এতে আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে দলিল রেজিস্ট্রী কার্যক্রম। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিশাল রাজস্ব, উন্নত রাষ্ট্র থেকে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। যা একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে এহেন কার্যক্রম চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সেজন্য চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর কাছে সরকার যেন আইওয়াশ না হয়, সাব রেজিস্টার মামুন বাবর এর খুঁটির জোর কোথায়? তা জানতে এবং ডিজিটাল কার্যক্রম হিসেবে কম্পিউটারে দলিল লেখার কার্যক্রম চালাতে কঠোর নির্দেশনা দিতে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মাননীয় সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও মান্যবর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের কাছে উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করতঃ জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও সরকারী উন্নয়নের বিশাল রাজস্ব বঞ্চিতের হাত থেকে বাাঁচাতে এবং জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ লাঘবে জোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই দাবী আলমডাঙ্গাবাসীর।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102