মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুনচর চাষি এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানে ফকির গ্রুপের দখলে থাকা প্রায় ১০০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্যাসিফিক ড্যানিমের কাছ থেক্রেও প্রায় ৩০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
তবে কোম্পানি দুটি পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ক্রয়কৃত জমিতে স্থাপনা ভাঙচুর করার অভিযোগ করেছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ।
এ সময় মেঘনা ঘোমতি নদী সংলগ্ন ফকির গ্রুপের প্রায় ৩ হাজার মিটার বাউন্ডারি ওয়াল ও বসুরচর ফেরিঘাট এলাকায় ৫টি দোকানঘর এবং প্যাসিফিক ড্যানিমের দখলকৃত প্রায় ৩০ বিঘা জমি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
তবে বিকেল ৩টার দিকে প্যাসিফিক ড্যানিমের কোম্পানিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়ে বিআইডব্লিউটিএ। একপর্যায়ে কোম্পানির কর্মচারীরা বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান পরিচালনাকারী দলের ওপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ১৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
এ সময় মেডিকেল এটেন্ডরস মুন্সী আবদুল্লাহ, ট্রাফিক সুপারভাইজর শহিদুল ইসলাম, স্পিডবোর্ড চালক মো. সাইদুল ইসলাম ও আনসার সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্টেট হাসান মারুফ জানান, গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে দখল করা নদীর জায়গা উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করেছি। হাইকোর্টের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিএ নদীর তীরবর্তী এলাকা রক্ষায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় বাউশিয়া মৌজায় যৌথ জরিপ যেখান পর্যন্ত নদীর সীমানা নির্ধারণ করা আছে সেই পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে যারাই দখলদার থাকুক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা ফকির গ্রুপে অভিযান শেষে প্যাসিফিক ড্যানিমে অভিযান করতে যাই। এ সময় প্যাসিফিকের লোকজন আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এতে আমাদের পুলিশসহ বেশ কিছু কর্মকতা-কর্মচারী আহত হন। তবে আমাদের জমি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে বিয়য়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র এ অভিযান পরিচালনা করার জন্য আমাদের জেলা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। তবে অভিযান পরিচালনার সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ১৩ রাউন্ট ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়ে আসি।