জয়পুরহাট কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ও পৌর মূলগ্রাম দুসিমানা ইউনিয়নের কৃষক জাহিদুলসহ ১০জন কৃষকের ১০ বিঘা জমির ফসল অপরিপক্ক আলু এখন পানির নিচে।
শুক্রবার ১৯ই জানুয়ারি মধ্যরাতে কে বা কারা শত্রুতামূলক ভাবে জমির পাশেই থাকা গভীর নলকূপ সেচ পাম্পের মাধ্যমে জমিতে পানি দেয়। এতে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক জাহিদুল ইসলাম৷
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী জমির মালিকদের ফোন দিয়ে বলে আপনাদের আলুর জমিতে ক্ষতির উদ্দেশ্যে কে বা কার পানি দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কৃষকরা জমিতে এসে দেখে আলুর জমি পানিতে পরিপূর্ণ,অপরিপক্ষ আলুর জমি পানির নিচে ডুবে গিয়েছে।
পরে কৃষকদের নিয়ে সারাদিন যাবত জমিতে অপরিপক্ষ আলু উত্তোলন করেছে । প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২৫ মণ আলু পেয়েছে আলু পরিপক্ক হলে প্রায় ১২০ মন আলুর ফলন হত বর্তমান বাজারদর প্রায় ৩৩ শতাংশ জমিতে ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি হত। আশা ছিল গত ১৫ বছর ধরে কৃষকরা আলু দাম পাইনি এবার একটু ভালো দাম পাওয়া যাবে ভেবেছিলেন এ বছর ক্ষেত থেকে ৩৩ শতক জমিতে লাখ টাকার আলু বিক্রি করবে। কিন্তু তাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে এবার দেনা পরিশোধ করবে বলেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ৷
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাহিদুল, ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি মানবিক সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সেচ পাম্প মালিকের সূত্রে জানা যায়, তাদের অগোচরে রাতের আঁধারে কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা পাশের জমির ফসল ক্ষতির উদ্দেশ্যে সেচ পাম্পের ঘরের তালা ভেঙে সেচ পাম্প চালু করে দিয়ে চলে যায়। পরে সকালে খবর পেয়ে তিনি এসে সেচ পাম্প বন্ধ করে। তিনি আরো বলেন, যারা এ অমানবিক কাজ করছে তাদের আইনানুগ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও তারা আরো বলেন, পুকুরে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ মেরে ফেলা, খরের পালায় আগুন দেওয়া, এমন ঘটনা এই এলাকায় প্রায় ঘটছে।
এলাকাবাসীর দাবি যারা এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে,মানুষের ক্ষতি করছে, তাদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায়কে জানালে তিনি সশরীরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন ও বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ দিলে কৃষকের উপর এমন অন্যায়ের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন