সে কবি। তাই তাকে
তার কবিতায় কখনও খোঁজো না।
সেখানে থাকে না সে।বরং তুমি থাকো, আমি থাকি
এবং আমাদের মত অন্যেরা অনেকেই থাকে।
সে তো নিজেকে নিজের ঘরেই ফেলে রেখে
বেরিয়ে পড়ে কবিতায়- ‘তুমি’রা এবং ‘আমি’রা হয়ে।নিজের ক্ষতগুলোর সে শব্দের বিস্কুন* বানিয়ে
কবিতার রৌদ্রে শুকোয় না
এবং নিজের খুশিকেও দাঁতে স্ফুরিত করে
কোনো টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে হাঁসে না।
বরং নিজের ক্ষতের একদিক থেকে
এমন গ্রামের মানচিত্র কবিতায় ফুটিয়ে তোলে
যে গ্রামটি সবেমাত্র দাঙ্গায় বিধ্বস্ত হয়েছে।শব্দগুলোতে অবতীর্ণ কবির
থাকাই হয়ে উঠেনা কবিতায়
সেখানে তো রয়েছে তারদ্বারা নির্মিত একটি হাতি
যাকে স্পর্শ করে অন্ধ হাতগুলো
নিজেদেরই বিশ্বাসকে দেখতে থাকে।কবিতার মূল সড়ক থেকে রোজ প্রান্তিক হয়ে থাকে কবি।
কবির শ্বাস-প্রশ্বাস
এবং কবিতার লয়
আসলে দুটো গরমিল বিষয়।(*বিস্কুন: শুকোনোর জন্য রোদে ছড়িয়ে রাখা শস্য)
-কবি মনপ্রসাদ সুব্বা সাহিত্য একাডমি পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন বিশিষ্ট নেপালি কবি। এই কবিতাটি তার ‘কবিকো নিমিত্ত এউটা কবিতা’-এর বঙ্গানুবাদ।