ইসরাইলে নজীরবিহীন হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আল আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে ইসরাইলে এই ব্যাপক রকেট হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হামাস। হামাস নেতারা এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘অপরেশেন আল-আকসা স্টর্ম’।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাসের হামলায় অন্তত ২২ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক।
হামাসের এমন নজীরবিহীন হামলার মধ্যেই সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইরান।
দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা রহিম সাফাভি ইরানের পক্ষ থেকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
তিনি সংবাদমাধ্যম ইসনাকে বলেন,
আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাই। ফিলিস্তিন এবং জেরুজালেম স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে যাব।
সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, শনিবার সকালে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এর কিছুক্ষণ পর হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করতে শুরু করে। এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলি সামরিক যান জব্দ করে তা গাজার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ৪০ জনের মতো ইসরাইলি সেনাকে গ্রেপ্তার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এই অভিযানে হামাসের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের আরেক স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামিক জিহাদ।
হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আল-জাজিরাকে বলেছেন, দশকের পর দশক ইসরাইলি দখলদাররা ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতা চালাচ্ছে। এসব নৃশংসতার পাল্টা জবাব হিসেবে তারা এ সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হামাসের অব্যাহত হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। আহদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামাসের অব্যাহত হামলার পরপর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ হামলার জন্য হামাসকে নজিরবিহীন মূল্য দিতে হবে।
এ ছাড়া হামাসকে পাল্টা জবাব দিতে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী।