শার্শায় আয়াকে উত্ত্যক্ত করায় মাদ্রাসা শিক্ষককে বরখাস্ত।
শার্শার পল্লীতে মাদ্রাসার আয়া’কে উত্যক্তের ঘটনায় এক শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শার্শার লাউতাড়া রাবেতাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ি মৌলভী শিক্ষক আলিমুর রহমান একই প্রতিষ্ঠানের মহিলা আয়াকে প্রায়ই শরিরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। তিনি বারবার নিষেধ করা সত্বওে লম্পট শিক্ষক বাধা মানেনি। সম্প্রতি আবারো একইভাবে উত্যক্ত করলে তিনি প্রতিবাদ করে ওঠে। এ সময় শিক্ষক আলিমুর তার মুখ চেপে ধরে। এ সময় আয়ার কন্যা সন্তান বিষয়টি দেখে ফেললে শিক্ষক সেখান থেকে সরে পড়ে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি বরাবর সু-বিচার দাবি করে উক্ত আয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে তদন্ত কমিটির সামনে আয়া সহ তার ৫ বছরের কন্যা সন্তান ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ উক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক জানান, উক্ত শিক্ষক আলিমুর রহমান এ ধরনের কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এ ব্যাপারে উক্ত আয়া’র কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিবেদককে পূর্বের ঘটনা সহ ঘটনার সত্যতা সিকার করেন।
শিক্ষক আলিমুর রহমান এ বিষয়ে জানান, আমাকে প্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর জন্য একটি মহল ষঢ়যন্ত্র করে চলেছে। এ ঘটনাও ষঢ়যন্ত্রের একটি অংশ।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আকরাম আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টির সত্যতা মেলায় উক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করলে আপনারাও জানতে পারবেন।
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, গতকাল আমার একজন ফোন করেছিল তার কাছ থেকে শুনেছি ,বিষয়টা গোপন করে রাখেছিল ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে রেখেছে ।