প্রেমের ফাঁদে ফেলে জবি ছাত্র আশিকুর রহমান কে সর্বস্বান্ত ও সম্মানহানির চেষ্টা।
ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আশিকুর রহমান আশিক। স্বপ্ন দেখেছিলেন বিসিএস ক্যাডার কিংবা ব্যাংক কর্মকর্তা হবেন৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন পড়ার টেবিলে যত্ন করে গুছিয়ে রেখে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন দিক বিদিক। বুক ভরা বিসিএস ক্যাডার হবার আশা না রেখে পুষে রেখেছেন এক মহা আতঙ্ক।
ঘটনাটি বছর কয়েক আগের। সাভারের তেতুলঝড়া কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে৷ তেতুলঝড়া কলেজের শিক্ষকগণ তাকে ভালো ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। সেই সূত্রে ছুটিতে বাড়িতে অবকাশ যাপনে গেলে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সাথে দেখা করতেন আশিকুর রহমান। কয়েক মাস আগে সেই কলেজেরই একজন শিক্ষার্থী কণিকা ইসলাম পড়াশোনার নাম করে পরামর্শ চেয়েছিলেন আশিকের নিকট। সরল মনেই বিভিন্ন বিষয়ে হেল্প করতেন আশিক কিন্তু সেই পরামর্শ আজ কাল হয়ে দাঁড়াবে এমনটি কখনোই ভাবতে পারে নি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান৷
একসময় প্রেমের ফাঁদে পড়ে আশিক এবং কিছুদিন প্রেম হয় তাদের মাঝে ।সপ্তাহখানেক ঘুরলে আশিক জানতে পারে তার প্রেমিকার তার আগেও কয়েকটি সম্পর্ক ছিলো এমনকি বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ছেলের সাথেও মেলামেশা করার নজির রয়েছে ।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে আশিকুর রহমান সরে আসে মেয়ের প্রেমের ফাঁদ থেকে কিন্তু নাছোড়বান্দা প্রেমিকা যেন পিছু ছাড়বেনা আশিকের কখনো হাত কেটে কখনো বা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আশিককে। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে আশিক বিয়ে করতে চাইলেও প্রেমিকা বিয়ে করতে অস্বীকার হন।
বিভিন্ন মাধ্যমে আশিক জানতে পারে মেয়েটির আরেক বান্ধবীর প্ররোচনায় এভাবেই হেনস্তা করছে ইচ্ছাকৃতভাবে। সবশেষে মানসিকভাবে আতঙ্কিত আশিক এবং তার পরিবার এ ঘটনায় সহায়তা নেন প্রশাসনের। প্রশাসনের পাশাপাশি স্হানীয় চেয়ারম্যান এর কাছেও অভিযোগ জানান আশিকের পরিবার। পরবর্তীতে স্হানীয় চেয়ারম্যান মেয়ের পরিবারকে সাবধান হতে বলেন এছাড়াও মেয়ের বাবা জানান এ ঘটনা আর হবে না।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশিককে এবং তার পরিবারকে শেষ করে দিবে, ফাঁসিয়ে দিবে এমন সরাসরি হুমকি প্রদান করে আসছে কনিকা ইসলাম।এবিষয়ে কণিকা সাংবাদিকদের জানান আশিকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তবে আশিক এ বিষয়ে অস্বীকার করেন। কণিকা জানান যেকেনো মূল্যে আশিককে দরকার। তবে স্হানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন আশিক তাদের এলাকার ভদ্র ছেলে। মেয়ে এবং তার মা টার্গেট করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে আশিককে। এছাড়াও এর আগে মেয়েটির সাথে একটি ছেলেকে আপত্তিকর অবস্থায় একটি রুমে দেখা গিয়েছিলো। এমনকি একাধিক ছেলের সাথেও মেলামেশা করার নজির রয়েছে।আশিক স্থানীয় থানায় এর সুষ্টু বিচার চেয়ে জিডি করেছেন। এছাড়াও সম্প্রতি মেয়েটি আশিককে সরাসরি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যা আশিক এবং তার দরিদ্র পরিবারের সম্মান নষ্টের পথে।