গত ৩ আগস্ট আপিল বিভাগের কাছে আইনজীবীরা আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য প্রার্থনা জানালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ চেয়ে ও জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছি। নতুন করে জামায়াত সমাবেশের ঘোষণা দেয়ায় আবেদনটি দ্রুত শুনানি হওয়া প্রয়োজন। তখন প্রধান বিচারপতি আগামী বৃহস্পতিবার আবেদনটি কার্যতালিকায় ৩৫ ক্রমিকের মধ্যে থাকবে বলে জানান।
সংগঠনটির সমাবেশ নিষিদ্ধ ও নেতাদের বিরুদ্ধ আদালত অবমাননা, এই দুই আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরিন, শাহরিয়ার কবির, শাওন মাহমুদ, রফিকুন্নবী, মাহফুজা খানম, আবুল হাশেম, তানভীর মোকাম্মেলসহ ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক গত ২৭ জুলাই আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার তানীয়া আমীর।
এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি) জামায়াতের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ অবৈধ বলে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে।
অপর দিকে দীর্ঘ প্রায় একযুগ পর গত ১০ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকায় ব্যাপক শোডাউন করে জামায়াত। ওই সমাবেশে জামায়াত নেতারা সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও দলের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
ওই সমাবেশে আদালত অবমাননার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লা মোহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুককে।
এই দুটি রিটকারী হলো- মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন।
গত ১৬ জুলাই জামায়াত ইসলামী হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেছে। জামায়াতের আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।