সাইবার নিরাপত্তা আইন হবে আরো ভয়ঙ্কর, আশঙ্কা রিজভীর।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন আরো ভয়ংকর ও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসবাদী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে তাদের হাত দিয়ে ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি না। দেশি-বিদেশি চাপে তারা আইওয়াশ হিসেবে এটি করেছে।
রুহুল কবীর রিজভী লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ এখন মনুষ্যত্বহীন আওয়ামী ফ্যাসিজমের কালো ছায়ার নিচে। নির্যাতনের নির্মমতার মুখে দাঁড়িয়ে আছে গণতন্ত্রকামী মানুষ। অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামী জনগণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আজ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরও দেশকে গণতন্ত্রের অভিমুখী না করে নিষ্ঠুর ফ্যাসিজমকে প্রতিষ্ঠিত করার আয়োজন চলছে মহাধুমধামে।
কবির কথায় বলতে হয়ে ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এই পৃথিবীতে আজ’। হিংসার একটা আদিম রূপের ছবি বাংলাদেশের সর্বত্র। প্রভুত্বকামী জুলুমবাজ সরকারের বিষাক্ত থাবা পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত।”তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী বিদ্বেষের মন্ত্রণাদাতা, শান্তির শত্রু।
কয়েক দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে এক সর্বগ্রাসী সহিংসতার ভয়ংকর আক্রমণ। আইনের শাসন, সুবিচার, মানবিক মর্যাদার অস্তিত্ব ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্র-সমাজ থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে নগ্ন দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে।রিজভী আহমদে বলেন, গণতন্ত্র এখন মৃত, সে জন্যই গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের যেকোনো কর্মসূচিকে বরদাশত করছে না অবৈধ সরকার। মিছিলের শব্দ শুনলেই গুলি চালানো হচ্ছে নির্বিচারে, সাপ পেটানোর মতো লাঠিপেটা করা হয় নেতাকর্মীদের। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের ছোড়া গুলিতে বিরোধী নেতাকর্মীদের হাত, পা, পিঠ, পাকস্থলীই বিদ্ধ হচ্ছে না, তাদের মহামূল্যবান অঙ্গ চোখ হারিয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে, চেনা পৃথিবী হয়ে যায় তাদের কাছে অচেনা।
আজীবন পরিবারের নিকট বোঝা হয়ে দিন কাটাতে হয়, এ বেদনা সহ্য করার মতো নয়। তাদের সহমর্মিতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না।