সজীব হত্যায় লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি)জড়িতঃএ্যানি।
কৃষক দলের কর্মী সজীব হত্যায় লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জামান আশরাফের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরে নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে বিএনপি আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ দাবি করেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা চলাকালে সজীবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে পুলিশ সুপারসহ উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের সবার বিচার হবে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হবে।
এ সময় পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ করে এ্যানি বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পাহারা দেবেন, আর রক্তের হোলি খেলায় মিলিত হবেন; সে পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন পুলিশ সুপার। তিনি আওয়ামী ঘরানার লোক। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসপিকে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
গত মঙ্গলবারের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় গত বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ৪ মামলায় ৩৫০০ জনকে আসামি করা হয়। সেসব মামলার গ্রেপ্তার আতঙ্কে তড়িঘড়ি করে সভা শেষ করে বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, জেলা বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।
এদিকে সজীবের মৃত্যু নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতিতে মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজ্জামান আশরাফ। বুধবার নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, আর্থিক লেনদেন ও বিয়ে সংক্রান্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের যুবক সজীব হোসেন। আর নিরীহ যুবকের লাশ নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। এই হত্যার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই, পুরোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
বিএনপির ১২ নেতাকর্মী জেলহাজতে: পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে নাশকতা, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার ওসি এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অভিযান করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।