কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে ককটেল,গুলি নিক্ষেপের অভিযোগ,গুলিবিদ্ধ ৩।
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের বাড়িতে ককটেল,গুলি নিক্ষেপ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩জন গুলিবিদ্ধসহ ৪জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছের চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলো,বসুরহাট পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছের চৌধুরী বাড়ির খাদিজা বেগম রুমা (৪৫),যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ গোলাম হোসেন চৌধুরী রাফেল (৩৯) কামরান পাশা মঞ্জিল (২৭)।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্ধের জেরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা সজল,মারুফ, ও কেচ্ছা রাসেল নেতৃত্বে ২ শতাধিক অস্ত্রধারী বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতর্কিত ভাবে আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বোমা, গুলি ছোঁড়লে ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া ৪টি বিল্ডিংয়ের থাই গ্লাস ও একটি টেনশেড ঘর ভেঙ্গে দেয় কাদের মির্জার অনুসারীরা। এ সময় ১০-১২টি বোমার বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার আওয়াজে এলাকায় নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনি কাদের মির্জার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, আপনি শান্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার আপনার পালিত সন্ত্রাসীরা বাড়িতে গিয়ে বোমা,গুলি ছোঁড়ে কেন?
এ বিষয় জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার এক সহযোগী ফোন রিসিভ করে জানান, মেয়র এখন বিশ্রামে আছে,পরে কথা বলবেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছররা গুলিবিদ্ধ এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুমেল চৌধুরী এ ঘটনার জন্য কাদের মির্জার অনুসারীদের দায়ী করছেন।