হীমেল মিত্র অপু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ সাপখাওয়া গ্রামের আব্দুর রহমান গং এর বিরুদ্ধে জালদলিল করে জমি দখলে নেয়ার নানা ষড়যন্ত্র মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইয়াছিন আলীর পরিবার সহ ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামছুল হক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাপখাওয়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তারের পুত্র ইলিয়াস হোসেন।
তিনি বলেন নাগেশ্বরী পূর্বমৌজার এসএ খতিয়ান নং ৩২৩, দাগ নং ৩৭৭ ক্রয়সুত্রে আমরা ৪৪ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছি। উক্ত জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এলাকার মাতবর ভুমিদস্যু জাল দলিলকারী দেওয়ানী দরখাস্তকারী মামলাবাজ সুচতুর আঃ রহমান গং এর । জালদলিল ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে জোর খাটিয়ে জমি দখল নেয়ার বারবার চেষ্টা চালায়। জমি দখলের প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর নেমে আসে হামলা মামলা ও নানান হয়রানি। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে দফায় দফায় বৈঠক হলেও শালিসি সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুচতুর আঃ রহমান উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে নাগেশ্বরী জজ আদালতে ৯৮/১৮ মোকদ্দমা দায়ের করে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আবেদন জমা দেয়। কিন্তু আদালত এখন পর্যন্ত কোন নিষেধাজ্ঞা জারী করেন নাই। মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও ভূমি খেকো আঃ রহমান নাগেশ্বরী থানায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই জমিতে আমাদের বিরুদ্ধে ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাগেশ্বরী থানাপুলিশ
সরেজমিন তদন্ত করে ঘড় নির্মানের সত্যতা পায়নি।
বারবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করায় আঃ রহমানকে পুলিশ সতর্ক করেন। জমি দখলে পুলিশি সহায়তা না-পেয়ে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্য সম্বলিত অভিযোগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশসুপার (বি সার্কেল) মাহামুদুল হাসান গত ২৪ জুলাই দিনব্যাপী তদন্ত সম্পন্ন করেন।
কুচক্রী মামলাবাজ আঃ রহমান গং এর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্ত বাধা হয়ে দাড়ালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও তদন্ত চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের পাশাপাশি পুলিশের ভাবমূর্তি বিতর্কিত করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে । সুচতুর আঃ রহমান গং বহাল তবিয়তে এলাকায় থাকলেও পুলিশি নির্যাতন ও হয়রানি, নিজের নিরাপত্তাসহ নানান চটকদার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সুনাম ক্ষুন্ন করছেন পুলিশের।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন কবির জানান,আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয়ে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে না। উক্ত জমির মালিকানা নির্ধারণে কয়েক দফা সালিশ হলেও আঃ রহমান জমির প্রকৃত কাগজ দেখাতে পারেননি। পুলিশ দিয়ে জমি দখলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী সহ নানা মাধ্যমে সুপারিশ করেও অন্যায়ভাবে জমি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে সে পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন করার নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশসুপার মাহামুদুল হাসান জানান, ওইদিন বাদী আঃ রহমান, তার ছোট ভাই আব্দুল খালেক ও স্থানীয় কমিশনার সহ ১৭ জনের জবানবন্দি গ্রহন করা হয়। সেদিনও আঃ রহমান জমির কোন কাগজপত্র পুলিশকে দেখাতে পারেননি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব নিলু, সাধারণ সম্পাদক আডাউর রহমান সহ জেলার কর্মরত সংবাদকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
এএসবিডি/আরএইচএস