পুনম শাহরীয়ার ঋতু, নিজস্ব প্রতিবেদক:সারাদেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে গত কয়েক সাপ্তাহ ধরে উপজেলা সদর থেকে নতুন বছরের নতুন বই পৌছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত স্কুলগুলোতে। দেশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রাইভেট কেজি স্কুলগুলোতেও এই সরকারী বই সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে গত ১৭ মার্চ থেকে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রে বৈশিক করোনার ছোবলে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরি মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠান,হাটবাজার, রিসোর্ট, পিকনিক স্পট, বিনোদন কেন্দ্রসহ যানবাহন, ট্রেন, বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের নীতি নির্ধারকরা সকল শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বন্ধের মধ্যেই সরকারী বই ১ জানুয়ারী-২০২১ সালের মধ্যে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের গত ২০২০ সালে নেওয়া বই স্কুলে জমা নিয়ে সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা গেছে নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে শতাধিক সরকারী ও কেজি স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে বই বইয়ের গন্ধে উচ্ছাস আনন্দ চোখে মুখে দেখা গেছে। কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তা শিক্ষকদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কিছুই বলতে পারেনি।
সিনথিয়া প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুল এর পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম মাষ্টার জানান, একটি বাড়ী ভাড়া নিয়ে তিনি গত দেড় যুগ ধরে সুনামের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। কিন্তু করোনার কারণে প্রতিমাসে তাকে বাড়ী ভাড়া বাবদ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। কবে স্কুল খোলার নির্দেশ দিবেন তিনি তাও জানেন না। তাই দুঃখ প্রকাশ করে জানান, পৃথিবীর সকর করোনা মনে হচ্ছে স্কুলের শ্রেণি কক্ষে এসে জড়ো হয়েছে।
এ ব্যাপারে এই এলাকার গ্রামবাংলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক জানান, সরকারী নির্দেশনা মানতে হচ্ছে। তাই যখন স্কুল খোলার অনুমোতি দিবেন তখন স্কুল খোলবো। তবে আগামী ১ তারিখে স্কুল শিক্ষার্থীও হাতে বই পৌছে দেওয়া হবে।
কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসাইন জানান, যথা নিয়মে ১ জানুয়ারী শিক্ষার্থীর হাতে বই দিতে হবে। এবং পুরাতন বই স্কুলে সংরক্ষণ রাখতে হবে।