শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ, রূপসাঃ খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় ৩নং নৈহাটি ইউনিয়ন এর ৫নং ও ৬নং ওয়ার্ড চর শ্রীরামপুর এলাকা যেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিকের বসবাস, প্রায় দুই তিন বছর যাবৎ সেখানে নদীর বাঁধ ভাঙ্গার ফলে আতঙ্কে আছে প্রায় কয়েক হাজার কৃষক, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহন করেননি স্থানীয় সরকার।
সেখানের এক বাসিন্দা আরিফুল শেখ জনান আমরা প্রায় দু-তিন বছর যাবৎ ধরে আতঙ্কে আছি আমাদের এখানে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক কৃষি কাজ করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি, আমাদের অর্থের যোগান হয় এই চর শ্রীরামপুর বিল থেকেই, কিন্তু এখানের বর্তমান পরিস্থিতি অনেক ভয়ঙ্কর, প্রতি নিয়ত বাধ ভাঙ্গার ফলে নদীর পানিতে চলে যাচ্ছে, ৪০ ফুট এর বাঁধ আজ মাত্র ৫ ফুটে রুপ নিয়েছে, এই নদী ভাঙ্গনের মুল কারন হচ্ছে ইটের ভাটা, নদীর ওপারে ইটের ভাটা থাকার কারনে সেখানে তারা ইট ফেলে চর তৈরী করেছে যার ভোগান্তি আমাদের দিতে হচ্ছে, তিনি আরো জানান ইট ভাটার মালিকেরা নদী থেকে মাটি কেটে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, কিন্তু তাদের বলতে গেলে হুমকি দিয়ে বলেন সরকার কে ট্যাক্স দিয়ে আমারা ভাটা চালাই, সুতরাং আমাদের কে কিছু বলবে না।
বিলের আরেক চাষি কবির শেখ জানান আমারা খুব ঝুঁকি পূর্ন অবস্থায় জীবন যাপন করছি, এই বাঁধ যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে নৈহটী,শ্রীরামপুর, নেহালপুর,কালিবাড়ির অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারন এই বিলের উপর নির্ভরশীল প্রায় কয়েক হাজার পরিবার, তিনি জানান আমারা নিজ উদ্যোগে প্রায় তিন চার লক্ষ টাকা খরচ করে আমরা ছোট একটি বাঁধ তৈরী করেছি কিন্তু আমাদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি কেননা যে কোন সময় এই বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে পারে, নষ্ট হতে পারে কয়েক হাজার কৃষকের রোপনকৃত ফসল, ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার,তলিয়ে যেতে পারে রূপসার কয়েকটি গ্রাম, অতি দ্রুত ভেরিবাঁধ টি পরিপুর্ন ভাবে নির্মান করা হোক এটাই তাদের দাবী, তিনি এটাও জানায় যে আমাদের এই দুরঅবস্থা ইউ এন ও স্যার কে জানালে তিনি দুই লক্ষ টাকার একটা বাজেট দিবেন বলে জনান, কিন্তু এই মহামারির ফলে তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার কার্য করে এই ছোট একটা বাঁধ নির্মান করেছি, কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি আমাদের গরীব কৃষকদের, ভয়ে তারা এখনও সার প্রয়োগ করেনি কৃষকরা।
এখানের কৃষকরা চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছে যে কোন সময় পানির উচ্চ চাপে তলিয়ে যেতে পারে রূপসা উপজেলার কয়েকটি গ্রাম তা সত্বেও কোন প্রকার উদ্যেগ গ্রহন করছেন না স্থানিয় সরকার।
এএসবিডি/আরএইচএস