আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশনঃভোলা-চরফ্যাশন বাজারের সদর রোড পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভয়াবহ আগুন লেগে বিভিন্ন প্রকারের সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ প্রাথমিকভাবে ধারনা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১কোটি টাকা৷
মঙ্গলবার (২০অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার সময় আল আমিন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের রান্না করার চুলা থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত হয়েছেন৷ আগুন লাগার পর চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট অতি দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন৷
সরেজমিনে দেখা যায় ভয়াবহ আগুনে আল আমিন হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, বরকত স্টোর, সৌদিয়া গ্লাস হাউজ, মিতালি বেকারী এন্ড ফাস্টফুট, মা টেলিকম, ঝমঝম হোটেল এবং খালেক মিয়ার চায়ের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে৷ দোকান মালিকদের তথ্য মতে উক্ত ৭দোকানে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷
চরফ্যাশন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, তারা খবর পেয়ে দ্রুত আসার পরে দেখেন একটি হোটেল থেকে আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আধা ঘন্টা চেস্টারপরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরলে সদর ও কলেজ রোডের অর্ধ শতাধিক দোকানে পুড়ে যেতো।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের আর্থিক অনুদানসহ বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দেন।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি আরও সমবেদনা জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর মেয়র বাদল কৃষ দেবনাথ, চরফ্যাসন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষআবুল হাসেম মহাজন, সম্পাদক অধ্যক্ষ মনির আহম্মেদ শুভ্র, ভোলা জেলা নাগরিক ফোরাম (দক্ষিণ) সভাপতি
এম আবু সিদ্দিক৷
সচেতন মহল বলেন, আল আমিন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর রান্নার ঘর থেকে অসচেতনতার কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে৷ তাই বাজারের মধ্য থেকে সকল প্রকার রান্নাঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷