তাঁদের স্বার্থচেতনা অত্যন্ত প্রবল ও আত্মকেন্দ্রিক।
যে ছেলেটি গত ১৬ বছর আ’লীগ দুশ্বাশনের সময়, বিএনপি ও অঙ্গ সংঘঠনের প্রতিটি প্রোগ্রাম নিবেদিত ভাবে সকল কাজ করে গেছে। আপ্যায়নে পানির ব্যবস্হা, নিজ হাতে চা আনা, কারও জন্য পান আনা, প্রোগ্রাম শুরুর সময় চেয়ার দেয়া, প্রোগাম শেষ হলে চেয়ার টেবিল গোছানো, এগুলো তার নিত্য দিনের কাজ ছিলো।
তাছাড়া পরিচিত এমন কোন ব্যক্তি নেই, যার কাজ সে করেনি।তাছাড়া সবার সাথে হাসিনা বিরোধী সকল মিছিলে ছিলো তার উপস্থিতি।
উপজেলা থেকে ইউনিয়ন সকল প্রোগ্রামে তার উপস্থিতি ছিলো, তাকে চিনে না এমন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নেই। সারা দিন বিনা শ্রমে কাজ করে অনেক দিন না খেয়ে কাটিয়ে দেয়। অনেক রাতে বাড়ীতে যাওয়ার সময়, পকেটে অটো ভাড়ার টাকা থাকে না।
বাড়ীতে বয়স্ক মা বাবা থাকলেও অনেক সময় মাকে না বলে, না ডেকে, না খেয়ে শুয়ে পরে। ইদানীং মনের কষ্টে দলের অনেক প্রোগ্রামে সে যায় না। প্রশ্ন করলে বলে এখন আর আমারে দরকার নাই। বিয়ের কথা বললে বলে, ঘর নাই বউ থাকবো কই।
কামাই নাই, কি খাওয়াইয়াম। হাজারো লোকের ভীরে ইলিয়াসরা একদিন হারিয়ে যায়। তাদের কথা কেউ মনে রাখেনা।