এস আল-আমিন খানঁ, পটুয়াখালী থেকেঃ পটুয়াখালী বাউফলে শাহিনুর বেগম (২৬), নামের এক গৃহবধূর লাশ ফেলে রেখে শশুর বাড়ির লোকজন উদাও হওয়ার সংবাদ পাওয়াগেছে।গৃহবধূ শাহিনুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিলবিলাস গ্রামের মো. হুমায়ূন কবির সরদারের মেয়ে, তার স্বামীর নামঃ মো. জুয়েল খানঁ (২৮), পিতাঃ আব্দুস ছালাম খানঁ উভয় একই গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটেছে , গত ১-লা-অক্টোবর-২০২০ ইং তারিখ দিবাগতে বাউফল উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে ২-রা-অক্টোবর- লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছেন বাউফল থানা পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সুত্রে জানাগেছে, ১’লা- অক্টোবর সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটের সময় বদিউল আলম নামের এক লোক চাচা শশুর পরিচয়ে গৃহবধূ শাহিনুরকে স্বাস্থ্য- কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধুকে মৃত ঘোষণা করলে গাড়ি নিয়ে আসার কথা বলে কেটে পড়েন চাচা শশুর। রাত আনুমানিক ৯ টার সময় শাহিনুরের স্বজনরা খবর পেয়ে সাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে।পরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বাউফল থানায় নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের দায়িত্বেে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত কুমার বলেন, গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টার কথা বলে ঐগৃহবধুকে ভর্তির কথা বলে, কিন্তুু আমার তা মনে হয়নি শাহিনুরকে এখানে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
মৃত শাহিনুর বেগমের স্বজনরা জানান, গত ৪ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছালাম খানেঁর ছেলে জুয়েল খানঁ এর সাথে।তাদের ঔরসে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান ও ছয়মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জুয়েল ঢাকা জর্জকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
মৃত শাহিনুরের ফুফু রওশন আরা জানান, আমাদের খবর দেয়া হয়েছে শাহিনুর স্টোক করেছে,আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই।মৃত্যু ডায়েরিতে শাহিনুর আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ী মিনারা বেগম (৫০),ফুফু শাশুড়ী মমতাজ বেগম (৪৫), নদন নাসিমা বেগম (৩০) ও মাকসুদা বেগম (৩৫), যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো।শাহিনুর আত্মহত্যা করেনি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে, শাহিনুরের শশুর বাড়িতে কোন লোকজন পাওয়া যায়নি।তবে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ মিয়া সহ এলাকার অনেকে বলেন যখন শাহিনুরকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সময় সবাইকে বলছে স্টোক করেছে পড়ে আবার শুনেছি আত্নহত্যা করেছে।যদি আত্মহত্যা করেও থাকে শশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে করেছে।শাহিনুর খুবই ভালো চরিত্র ও সভ্য মেয়ে ছিলো বলে জানান।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।যদি আত্মহত্যাও করে থাকে কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।