দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রায় ৬০ গ্রামে আজ পালিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ। সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে এই এলাকার অধিবাসীরা প্রতিবছর এভাবেই পালন করে আসছে ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আযহা। দক্ষিণ চট্রগ্রামের চন্দনাইশ আর সাতকানিয়া উপজেলার ৬০গ্রামের অধিবাসীরা প্রায় ২০০ বছর ধরে তাদের এই ঐতিহ্য পালন করে আসছে।সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশ উপজেলার জাহাগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা এই নিয়মে ঈদ এবং রোজা পালন করে আসছেন দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে
১৬ জুন (রবিবার) সাতকানিয়া মির্জাখিল (বাংলাবাজ) দরবারে ঈদুল আজহার নামাজ পালিত হয়।
আজকে মির্জাখিল দরবারে সরেজমিনে গিয়ে এক মুসল্লীর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ওনার মা-বাবা দুইজনে দুই নিয়মে ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। ওনার মা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পালন করেন আর ওনার বাবা বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়মে পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই বাবাকে অনুসারে করে আর ছোট ছেলে মা-কে অনুসারণ করে ঈদের উৎসব পালন করেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে জানা যায়,
ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফি মাযহাবের অনুসারী হিসেবে নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং আমাদের পূর্বের দেশসমূহে চন্দ্র দর্শন বিবেচনায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের হিসেবে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা ও মদিনা শরীফে তথা আরব বিশ্বের চাঁদ দেখার খবর বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জ্ঞাত হয়ে আজ রবিবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলেন।