মোঃ আরমান হোসেন দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের উত্তর বালুয়াডাঙ্গায় একটি বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ভেঙেচুরে ফেলেছে।এবং একই সাথে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা নিয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম (৬০)।এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই ১১ ই সেপ্টেম্বর দুপুরে বাসায় ময়লা আবর্জনা ফেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বাক বিতরকের সৃষ্টি হয়।বাক বিতরকের এক পর্যায়ে সৃষ্টি হয় সংঘর্ষ সে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন শহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সায়েম সুলতান সুইট ও সাবির সুলতান।
দুপুরেই ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ভর্তি করা হয়।শহিদুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য তার ছেলেদের নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত থাকলে বিকেলের দিকে সন্ত্রাসীরা আবার সে বাড়িতে হামলা চালিয়ে সরকারি মিটার বাসার আসবাবপত্র মোবাইল, ল্যাপটপ, এলইডি টিভি সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ভাঙচুর করেন এবং স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ, লুট করে বাসায় পেট্রোল জাতীয় পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় শহিদুল এর স্ত্রী সুলতানা জেসমিন পুলিশি সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ কল করলেঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, উত্তর বালুয়াডাঙ্গার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ আব্দুর রশিদ (৬০) হাংরি বাবু (৫০)। পাহাড়পুরের মোঃ আব্দুর রশিদ এর শ্যালকমোঃ সোহেল(৫০), দক্ষিণ বালুয়াডাঙ্গার মৃত তোছাদ্দেক হোসেনের ছেলে মোঃ সুজন ৪০, দক্ষিণ বালুয়াডাঙ্গার মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ রায়হান(৫০), মৃত জলিলের ছেলে মোঃ হাবলু(৫০), পাহাড়পুরের ( ইলেকট্রিক মিস্ত্রি) মোঃ রাশেদ(৪০), দক্ষিণ বালুয়াডাঙ্গা শফিকুল ইসলামের পালিত সন্তান বাপ্পি (৩০), টেম্পু চালক রুবেল(৩৫), মেহের আলীর ছেলে রতন(২৫), মোঃ আজিম(৩০), বালুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড মৃত জলিলের ছেলে মোঃ আনিছুর(৩৮), পাহাড়পুরের এরশাদ(৩৫), দক্ষিণ বালুয়াডাঙ্গা সবজি বিক্রেতা মোঃ সুমন(৩০), পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা বিডিআর এর জামাই মোঃ সোহেল(৩৫), মোঃ আব্দুর রশিদ এর স্ত্রী মোছা- হেলেন(৫০), হাংরি বাবুর স্ত্রী লুসি (৪০), সুজনের স্ত্রী আইরিন(৩০) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ দলের নামে এজাহার দায়ের করেছেন।
সন্ত্রাসী হামলার মামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীরা এখনো বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন বলে জানিয়েছেন শহিদুল এর ছেলে সাবির সুলতান।