সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামের একজন মানবিক ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ আবরার হাসান। 

এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ- চট্টগ্রাম জেলা। 
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩

চট্টগ্রামের একজন মানবিক ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ আবরার হাসান। 

নিসন্দেহে সবচেয়ে ভালো পেশা হল ডাক্তারি পেশা, এটা একটা মহৎ পেশা। ভালো মানের চিকিৎসক হতে হলে থাকতে কয়েকটি গুনা বলি থাকা প্রয়োজন। ভাল মানের ওষুধের প্রতি ভালো ধারণা থাকতে হবে। একজন ভালো ডাক্তারই পারে ভালো ওষুধ গবেষনা করতে। রোগীদের ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে হবে। রোগীদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। অনেক ডাক্তার আছে রোগীদের প্রতি রেগে যায়, এটা উচিত নয়। অযথা টেস্ট দেয়া যাবেনা, আমাদের দেশে অসংখ্য হত দরিদ্র মানুষ রয়েছে যে তারা ঠিক মত তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারেনা। ওষুধের প্রতি যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। প্রয়োজনের থেকে বেশি ওষুধ দেয়া যাবেনা।
আমরা সাধারণত অসুখে বিসুখে অসুস্থতায় সৃষ্টিকর্তার পরেই মানুষ যাদের শরণাপন্ন হয় সেই মহান পেশার মানুষ হলো চিকিৎসক। সেবার ব্রত নিয়েই যারা নিজেদের আত্ম নিয়োগ করেন চিকিৎসাসেবার মতো মহৎ পেশায়। প্রতিটা সেক্টরেই ভাল মন্দ দুই শ্রেণীর মানুষ থাকে  তেমনি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও  আছে। রাগ অভিমানে এই পেশার মানুষকেই অনেক সময় কশাই বলতেও শোনা যায় আবার এই মানুষগুলোর দারা উপকৃত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রাণভরে দোয়াও  করেন অনেকে।
চিকিৎসাসেবা একটি অনন্য শিল্প বা সেবা। একে প্রায়োগিকভাবে রপ্ত করতে হয়। জানতে হয় বিস্তর। আত্মস্থ করতে হয় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে। সব কাজের মধ্যে যেমন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি আছে, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যেও তাই। সবকিছু ছাপিয়ে চিকিৎসকের উত্তম ব্যবহার, হাতের যশ, রোগ নির্ণয়, তার সঠিক চিকিৎসা প্রয়োগ, চিকিৎসার অনাবিল মুন্সিয়ানা হয়ে উঠে অনেকে  । অনেক চিকিৎসক আছেন যাদের কোনো আবেগ ও হৃদয়ের ভাবাবেগ থাকে না। এ যেন রোবটিক ফাঁপা, নিষ্প্রাণ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা করা। এ রকম চিকিৎসকদের সাধারণ মানুষ মোটেই পছন্দ করেন না। চিকিৎসা করতে হয় রোগের ধরন বুঝে আর বাস্তবতা দিয়ে। তাহলেই রোগ দূরীভূত হবে। সেই রকম একজন ভাল মানের ও ভাল মনের একজন মানবিক চিকিৎসক। তার  আচরণেই রোগীর ৩০% রোগ ভাল হয়ে যাবে।  তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী ও অভিভাবকের অভিমত।
যার সম্পর্কে বলছিলাম চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ আবরার হাসান একজন ভাল মানের ও ভাল মনের চিকিৎসক | মেডিসিন, বাথ-ব্যাথা ও ডায়াবেটিস রোগের এক অনত্যম চিকিৎসক। তিনি  মেডিসিন, বক্ষব্যাধী,ডায়াবেটিস, বাত ব্যাথা, অ্যাজমা,ও এলার্জী   সহ বিভিন্ন  রোগের চিকিৎসা  দিয়ে থাকেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা গ্রহন করা একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি সময় ধরে রোগের বর্ননা শোনেন এবং রোগীর সাথে সুন্দর  আচরণ  করেন। সর্বদা হাসোজ্জল এ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে  ইতোমধ্যে ব্যপক  জনপ্রিয়  হয়ে ওঠেছেন। ভাল ডাক্তারের কাতারে স্থান পেয়েছেন।  মানবিক এ চিকিৎসক অনেক গরীব  অসহায় রোগীদের  ফি ছাড়াই  চিকিৎসা পরামর্শ  দিয়ে থাকেন। অতিরিক্ত পরীক্ষা দেন না ডাক্তারের কাছে নির্ভয়ে সব বলা যায় । একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোন টেস্ট দেন না।  তিনি করোনার ভয়াবহতায় যখন আপন সন্তানেরা মা বাবা কে ছেড়ে গেছে, ভাই ভাই কে দুরে রেখেছে সে সময়ও এই মানবিক চিকিৎসক ফ্রন্ট লাইন ফাইটার হিসাবে সরাসরি রোগী দেখছেন সু চিকিৎসা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ( ২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশে ভেল ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চতুর্থ তলায় ৪২৪ নাম্বার রুমে তার চেম্বারের সামনে অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা চিকিৎসা নেবার অপেক্ষা করছে এদিকে সিরিয়াল অনুযায়ী সময় ধরে চলছে চিকিৎসা পরামর্শ। এ সময় কথা হয় কয়েকজন  রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা  ষাটোর্ধ  নুর নাহার বেগম বলেন আমি দির্ঘদিন ডায়াবেটিস, বাথ-ব্যাথা রোগে ভোগছি বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছি ভাল হয় নি এই ডাক্তারের চিকিৎসা পরামর্শে ঔসধ খেয়ে আল্লাহ  আমাকে ভাল রেখেছে।  আমি নামাজ পড়ে ওনার জন্য দোয়া করি যেন তিনি সুস্থ থাকেন মানুষের জন্য।
চিকিৎসা  নিতে আসা গাজী আমজাদ হোসাইন বলেন মাজার ব্যাথায় অনকে কষ্ট  পাচ্ছিলাম এখানে চিকিৎসা নিয়ে ভাল আছি।  ইশতিয়াক নামে এক রোগী বলেন ডায়াবেটিসের রোগী  আমি কোন ভাবেই কমে না ডায়াবেটিস  এখানে চিকিৎসা নিয়ে ভাল আছি।
একজন গরীব অসায় রোগী  হাসিনা বেগম বলেন আমার অনেক সমস্যা  ছিল চিকিৎসা নিয়ে ভাল আছি আবার দেখা করতে এসেছি,  আমরা গরীব শুনে তিনি পরামর্শ ফি নেন নি, ওনার  কথা আচার ব্যবহার খুব ভাল। ওনি আসলে ডাক্তার নয় ফেরেস্তার মতো মনে হয় ওনাকে ফেরেস্তা হিসাবে পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করতে।
এমন একটা ঘণ্টা নেই যখন নিজের মুঠোফোনটা বন্ধ রেখেছেন। কারও হাসপাতালে সিট প্রয়োজন, কারও আইসিইউ লাগবে, কারও বা আবার প্লাটিলেট। সব এক হাতে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি কোনো কোনো রোগীকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসার জন্য এম্বুলেন্সটাও পর্যন্ত ঠিক করে দিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102