চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্থাপন করা হবে পাঁচটি ভূ-গর্ভস্থ বর্জ্য সংরক্ষণাগার
চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্থাপন করা হবে পাঁচটি আধুনিক ভূ–গর্ভস্থ বর্জ্য সংরক্ষণাগার। ‘সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন’ (এসটিএস) হিসেবে ব্যবহার হবে এসব বর্জ্য সংরক্ষণাগার। প্রাথমিক উৎস বা বাসা–বাড়ি, অফিস–আদালত থেকে সংগৃহীত বর্জ্য এসব এসটিএস এ সংরক্ষণ করা হবে। এতে সংরক্ষিত বর্জ্য চোখে দেখা যাবে না এবং আশেপাশে দুর্গন্ধও ছড়াবে না।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আলমাস মোড়, ফলমণ্ডি, ২নং গেইট, আগ্রাবাদ টিএন্ডটি কলোনি স্কুল সংলগ্ন এলাকা এবং চকবাজার বাদুরতলায় ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস’গুলো স্থাপন করা হবে। প্রতিটি এসটিএস নির্মাণে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনও ৬টি ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নগরে ফিনল্যান্ডের ‘হাবা গ্রুপ’ ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস’গুলো নির্মাণ করবে। জানা গেছে, এসটিএস থেকে ডাম্প ট্রাকে করে হালিশহরের আনন্দবাজার ও আরেফিন নগরে অবস্থিত ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের এফআইডিসি রোড, লালখান বাজার ওয়ার্ডের টাইগারপাস, পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের বরিশাল কলোনি, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের সাগরিকা, হালিশহর মুনিরনগর ওয়ার্ডের পোর্ট কানেকটিং রোডের পোর্ট মার্কেট, দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বিমানবন্দর সড়কের বিজয় নগর বা ১৫ নম্বর এলাকায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে ৬টি এবং চান্দগাঁও এক কিলোমিটার ফ্লাইওভারের নিচে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত একটিসহ সাতটি এসটিএস আছে। তবে এসব এসটিএস’এর একটিও ভূ–গর্ভস্থ নয়।
নগরে বিদ্যমান এসটিএস’গুলোর মধ্যে এফআইডিসি রোডের বর্জ্য সংরক্ষণাগারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হচ্ছে যথাক্রমে ৫০ মিটার ও সাড়ে ১৪ মিটার। বাকিগুলোর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২১ মিটার ও প্রস্থ্থ সাড়ে সাত মিটার। আর প্রতিটি ভবনের উচ্চতা হচ্ছে প্রায় ৪০ ফুট। এসব এসটিএস ধারণক্ষমতা ১শ টন। অবশ্য এসটিএস এর বাইরে নগরে শতাধিক উন্মুক্ত স্থান রয়েছে যেখানে বাসা–বাড়ি থেকে সংগৃহীত বর্জ্য এনে সাময়িকভাবে রাখে চসিক। অবশ্য অনেকগুলো স্পটে বর্জ্য রাখার কন্টেনারও রাখা আছে।
এরপরও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য সংরক্ষণ করায় দুর্গন্ধ ছড়ায় আশেপাশে। এতে পথচারীদের ভোগান্তির পাশাপাশি শহরে সৌন্দর্যহানিও ঘটে। এ অবস্থায় ভূ–গর্ভস্থ এসটিএস স্থাপনের ফলে উন্মুক্তভাবে ময়লা রাখার স্থানের সংখ্যাও কমে আসবে। একইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থপনার ফলে আসবে শৃক্সখলা।