চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে ফ্লাইওভার মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার নামকরণ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৫-২০ কিঃমিঃ এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে ফ্লাইওভার “মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার” নামকরন করা হয়েছে। আজকের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের ৪৫৮ তম বোর্ড সভায় সর্বস্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্লাইওভারটি নভেম্বরে প্রথম সপ্তাহে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের (বৃহস্পতিবার) বোর্ড সভায় নামকরণের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী নামে ফ্লাইওভারের নামকরণের একটি প্রস্তাব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মূল শহর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, শহরের যানজট কমিয়ে আনার পাশাপাশি যাত্রাপথের দূরত্ব কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। তবে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথমে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়।
এরপর বিভিন্ন সময় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে সবশেষ সিডিএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজের সময় আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিডিএ ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।