মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

প্রায় ৫০ কোটি ফুল স্থানীয় চাষীদের উৎপাদিত বিক্রির জন্য আবারও জমে উঠেছে বেচাকেনা।

আনোয়ার হোসেন,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

প্রায় ৫০ কোটি ফুল স্থানীয় চাষীদের উৎপাদিত বিক্রির জন্য আবারও জমে উঠেছে বেচাকেনা।

 

যশোরের গদখালী ফুলের বাজারে স্থানীয় চাষীদের উৎপাদিত ফুল বিক্রির জন্য যশোর-বেনাপোল সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম ফুলের বাজার গদখালী। ভোর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব হয়ে ওঠে ফুলের বাজার। গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা ফুলের পসরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় শত শত ফুলচাষিকে। সেই সঙ্গে কয়েকটি পাইকারি ফুলের আড়ৎ এ ফুলের সমারোহ। অল্প জমিতে ফুলচাষ করা চাষিরাও বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল ও ভ্যানে ঝুঁড়ি ভরে ফুল নিয়ে বাজারে এসেছেন। এখানে আসা পাইকাররা সেসব ফুল কিনে নিচ্ছেন।

পহেলা ফাগুন উপলক্ষে গত দুই ’দিন ধরে ফুলের বাড়তি চাহিদা থাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ফুল কিনছেন এই বাজার থেকে। একই সঙ্গে বেশি দাম পাওয়ায় চাষিরাও বাজারে দ্বিগুণ ফুল এনেছেন। সবমিলিয়ে উৎসবের এই মাসে আবারও ফুল-বেচাকেনা জমে ওঠায় চাষি কিংবা ব্যবসায়ী সবার মনে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

হাড়ি খালি থেকে গদখালী বাজারে ফুল নিয়ে আসা চাষি আঃ খালেক মোড়ল প্রতিবেদক কে বলেন, প্রায় দুই বছর পরে ফুলের বেচাকেনা অনেক ভালো হচ্ছে।

ঘুরে দাড়েয়েছে ফুলের রাজধানীর কারিগররা। এ বসন্তে তারা সব জরা কাটিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ফুল বিক্রী করার টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর সে নিমিত্তে গদখালীতেগদখালী বাজারে আবারও জমে উঠেছে ফুল বেচাকেনা

গদখালি ফুলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে মানভেদে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা, যা মাসখানেক আগেও বিক্রি হয়েছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকায়। বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৮ থেকে ১০ টাকায়। এছাড়া গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত। যা আগে ছিল ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত।পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা সিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে আসন্ন তিন দিবসে ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় করোনাকালের প্রায় দুই বছর পর মুখে হাসি ফুটেছে গদখালীর চাষিদের। তারা বলছেন, এই তিন দিবস যত এগিয়ে আসবে ফুলের দামও ততই বাড়বে। আশা করেছেন গত দুই বছর ধরে করোনায় লাগাতার যে ক্ষতির শিকার হয়েছেন, এ বছর ফুল বিক্রি করে কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

 

পহেলা ফাগুন উপলক্ষে গত দু’দিন ধরে ফুলের বাড়তি চাহিদা থাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ফুল কিনছেন এই বাজার থেকে। একই সঙ্গে বেশি দাম পাওয়ায় চাষিরাও বাজারে দ্বিগুণ ফুল এনেছেন। সবমিলিয়ে উৎসবের এই মাসে আবারও ফুল-বেচাকেনা জমে ওঠায় চাষি কিংবা ব্যবসায়ী সবার মনে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

হাড়ি খালি থেকে গদখালী বাজারে ফুল নিয়ে আসা চাষি খালেক মোড়ল বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দুই বছর পরে ফুলের বেচাকেনা অনেক ভালো হচ্ছে।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মহামারি করোনার কারণে ফুলের বাজার বসলেও গত কয়েক মাসে ভালো পাইকার মিলতো না, ফলে নামমাত্র দামেই ফুল বিক্রি করতে হতো।

গদখালীতে প্রথমবারের মতো টিউলিপ চাষ করেছেন পানিসারার ইসমাইল হোসেন। তার পাঁচশতক জমিতে ফুঠেছে বিভিন্ন রঙের ৭ প্রকারের টিউলিপ ফুল। তিনি জানান, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে তার জমিতে টিউলিপ ফুল ফুটা শুরু করেছে। ভালো বাসা দিবসে এসব টিউলিপ ফুল বিক্রি করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102