দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল আমাদানি রফতানি বানিজ্য গতিশীল করতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের কনফারেন্স রুমে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থল বন্দর বেনাপোলের পরিচালক মনিরুজ্জামান।
বেনাপোল কাস্টমস বন্দর ও ব্যবাসায়িদের সকল অভিযোগ খুব দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাষ দেন বানিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজ কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, বেনাপোল স্হল বন্দর দিয়ে ৪ শত থেকে ৫ শত ট্রাক দেশে প্রতিদিন প্রবেশ করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন একই মন্ত্রানালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল ও মামুন কবির তরফদার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা,বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভুউয়া ।
ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ, সিএন্ডএফ সভাপতি মফিজুর রহমান সজন,ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন, আইবিসিসিআই এর পরিচালক মতিয়ার রহমান বিজিবির আইসিপি
কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আরশাফ হোসেন,
আনছার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ, পিমা সিকিউরিটি গার্ড ইনচার্জ মিজানুর রহমান, সিএন্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সহ সভাপতি ইদ্রিস আলী, সহ বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতা কর্মী গন ।
মতবিনিময় সভায় স্থল বন্দরের বিরাজমান সমস্যাগুলি তুলে ধরেন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। সমস্যা গুলোর মধ্যে একাধিক ব্যবসায়ির নেতাদের বক্তব্য উঠে আসেন বেনাপোল স্থল বন্দরে জায়গা সংকট।
সেখানে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার ফলে ট্রাকের ডেমারেজ গুনতে হয় প্রতি ট্রাকে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ভারতীয় রুপী। এতে ব্যবসায়িদের লোকসান ও গুনতে হয় কখনো কখনো সময়।
রফতানি পণ্য নিয়ে ভারতের বিএসএফ নানা ধরনের হয় রাণী করে থাকে বাংলাদেশী ট্রাক চালকদের। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাক গেলে সেখানে চালকদের সাথে অমানবিক দুর ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগে উঠে আসে।
জায়গা সংকটের জন্য আইন বহির্ভুত ভাবে বন্দর এলাকার বাহিরে ও রাখতে হয় পণ্য। শিল্প ইন্ডাষ্ট্রির কাঁচামাল, র’মেটেরিয়াল সড়ক নির্মানের পাথর সহ অন্যান্য সামগ্রী এ পথে আমদানি কারক নিয়ে থাকেন।
কিন্তু বন্দর এ জায়গার অভাবে আমরা সময় মত সকল পণ্য এক সাথে গ্রহন করতে পারি না। ইতিমধ্যে বেনাপোল স্হল বন্দরে অবকাঠামও অনেক উন্নয়ন হয়েছে; তবে এখানে প্রয়োজন আরো বন্দর এর জায়গা সম্প্রসারন করা। এর জন্য জমি অধিগ্রহন করা খুবই প্রয়োজন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, বেনাপোল স্হল বন্দর দিয়ে এখন ৪ থেকে ৫ শত ট্রাক দেশে প্রবেশ করছে।
এ সংকটরে কারনে আমাদনি কৃত পন্য বন্দরে সময় মত উঠা নামা করতে না পারায় ডেমারেজ গুনতে হয় ব্যবসায়িদের। সব থেকে বড় অসুবিধা হলো একটি আমদানি পণ্য ট্রাক ভারত এর কালিতলা পার্কিংয়ে এক মাসের বেশী সময় অতিবাহিত করে থাকে ।