দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত, পরিস্থিতি
অবনতির আশঙ্কা।
অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দেশের বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে বন্যা, পাহাড়ধস ও জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতের মধ্যেই মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ঝড়-বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, “মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।”
এদিকে টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু ঘর-বাড়ি ও সড়ক বন্ধ হয়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে সাজেকে আটকে পড়েছেন দুই শতাধিক পর্যটক।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরীন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, “চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা কবলিত হয়েছে উপজেলাটি।”
অন্যদিকে সিলেট অঞ্চলে তৃতীয় দফায় বানের কবলে পড়ছেন কয়েক লাখ মানুষ।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে পানি বাড়তে থাকলে আবারও বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, গতকাল সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টির ফলে ও মুহুরী নদীতে উজানের পানি বেড়ে যাওয়া ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরামে তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে বন্যার পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।