টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ মানবপাচারকারী আটক করা হয়েছে। এ সময় পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্র এবং পূর্বে আটককৃত পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ বেশ কিছু ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ ডিসেম্বর, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও আউটপোস্ট বাহারছড়া কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
সিয়াম-উল-হক বলেন, এ সময় আভিযানিক দল ৩ জন মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে, পাচারকারীদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের গোপন আস্তানা থেকে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং অল্প খরচে বিদেশ যাত্রার প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করা হতো।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত ব্যক্তি, জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও আটককৃত অপহরণকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।