মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন শাজাহান খান

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক বাড্ডা থানার রফিকুল হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৭ মার্চ) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিকে বড় ছেলে হাসিবুর রহমান খানের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই, এই কথা বলতে বলতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন শাজাহান খান।

এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। সকাল ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

রিমান্ড শুনানিকালে শাজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত আমাকে একটু সময় দেন কথা বলার। আমি কথা বলতে চাই। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, পিপি সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করেছে। সে অর্ডার তো দিতে পারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গুলি চালানোর অর্ডার তো আমি দিতে পারি না। আমি জড়িত না। কেন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। সে এখন জেলে।

তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন- আমার ছেলে কি করেছে। আমি ঢাকায় থাকাকালে ছেলে মাদারীপুর ছিল। আপনি এখনই চেক করতে পারেন। আর সিরাজুল ইসলাম কে? তখন বিচারক বলেন, আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন। তবুও শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান।

তিনি বলেন, একটু সময় দেন। উনারা (আইনজীবী) ভালোভাবে বিষয়টা বলতে পারেননি। চেয়ারম্যান ৬টা হত্যা মামলার আসামি। আমি তার পক্ষে ছিলাম না। তাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দিয়েছে।

পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন শাজাহান খান।

শুনানি শেষে ১০টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাত কড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন। তখন তিনি বলেন, কথা বলা নিষেধ? কথা তো বলতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102