৩য় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশেকে হোয়াট ওয়াশ করতে ৩২২ রানের লক্ষ্য পেলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের মান বাঁচানোর ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের পেস আক্রমণে খেই হারা টাইগারদের টেনে তুলে মেহেদি-সৌম্য জুটি। আর ফিনিশিং দেন বরাবরের মতো মাহমুদুল্লাহ-জাকের জুটি।
সেন্ট কিটসে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এমনিতেই সিরিজ হেরে মানসিকভাবে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজে একটি জয় পেতে একাদশে তিন পরিবর্তন আনে টাইগাররা। এ দিন শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানার পরিবর্তে খেলানো হয় নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদকে।
টস হেরে শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারকে নিয়ে মাঠে নামেন তানজিদ হাসান। দুই ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো খেলা তানজিদ এদিন শূন্য হাতে ফিরে যান। আলজারি জোসেফের দ্বিতীয় ওভারে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন এই ওপেনার। এই ওভারেই পরে জোসেফের বলে তিনে নেমে শূন্য হাতে ফিরে যান লিটন দাসও। তখন ৯ রানে দুই উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।
এরপর সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যামিস্ট্রিতে ধসে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে মেরামতের ইঙ্গিত পায়। দুই ম্যাচে রান না পেলেও মিরাজের সঙ্গে জুটি গেরে আশা জাগান সৌম্য। মোতির বলে লেগ বিফর উইকেটের ফাঁদে মাঠ ছাড়ার আগে ৭৩ বলে ৭৩ রান তুলে নেন এই ওপেনার। তার যাওয়ার সময় তিন উইকেটে হারিয়ে দলীয় স্কোর দাড়ায় ১৪৫ রান।
দ্বিতীয় ম্যাচে রান তুলতে না পারলেও এই ম্যাচে রান আউটের ফাঁদে পরার আগে ৭৩ রানের লম্বা ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। টাইগার কাপতান ফেরার পর পরই দলীয় ১৭১ রানের মধ্যে আফিফকে হারায় বাংলাদেশ। গত ম্যাচে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-জাকের আলী জুটি আজও উজ্জল ছিলেন। ৬৩ বল খেলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। আর ৫৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী। এই দুই জনের হার না মানা ১৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৩২১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।