৫ অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়া প্রায় বন্ধই রেখেছে ভারত। মেডিকেল এমারজেন্সি ছাড়া আর কেউ এখন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারছেন না। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে যারা ভারতে, বিশেষ করে কলকাতায় যেতেন বাংলাদেশ থেকে, তাদের অভাবে কলকাতার হোটেল আর দোকান খালি পড়ে আছে। ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
কলকাতার কেন্দ্রে দুই বর্গ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে শতাধিক হোটেল এবং তিন হাজারের বেশি দোকান। পর্যটকনির্ভর ওই বাণিজ্যিক এলাকা মিনি বাংলাদেশ নামে পরিচিত। সেই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যই মূলত বেশি সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে খালি পড়ে আছে হোটেলগুলো।
এক সময় ঠাই হতো না এসব হোটেলগুলোতে। হোটেল মালিকরা বলছেন, এখানকার পর্যটকদের ৯৫ ভাগই বাংলাদেশি। কোনো মৌসুম ছিলো না। সারা বছরই কোলকাতায় ঘুরতে আসতো বাংলাদেশিরা।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে ভারত সরকারের মনে কষ্ট। তাই ভিসানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে দিল্লি। তার খেশারত দিচ্ছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা।
চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য ভিসা ইস্যু করছে না ভারত। এর ফলে বাংলাদেশিদের কলকাতা ভ্রমণ ব্যাপক হারে কমে গেছে। ধস নেমেছে সেখানকার ব্যবসা বাণিজ্যে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ক্রেতার অভাবে কলকাতার মিনি বাংলাদেশ এলাকার বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গেছে। বর্তমানে মারকুইস স্ট্রিট, সাডার স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, রয়ড স্ট্রিট এবং এলিয়ট রোডের ১২০টি হোটেলের মাত্র ১০ শতাংশ কক্ষে অতিথি আছে। অথচ গত বছর এই সময়ে হোটেলগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ ভরা ছিল।
কলকাতার ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারীর সময় লকডাউনের কারণে যে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা, বর্তমানে সেরকম পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে। সামনে দিনগুলোতে বাংলাদেশি পর্যটকদের এই শূণ্যতা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না কলকাতার ব্যবসায়ীদের।