শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে দেবী দুর্গা বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে এসেছেন। সঙ্গে চার সন্তান সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ ও কার্তিক। মাকে বরণ করে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো দুর্গাপূজার মূল আয়োজন।’
উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাক-ঢোলের বাজনার মধ্য দিয়ে চলছে পূজা। সারাদেশে মতো রাউজানের পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের ২৩৩ টি পূজা মন্ডপে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দূর্গা পূজা। এ সময় ঢাক-ঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে দেবী দুর্গাকে পৃথিবীতে স্বাগত জানানো হয়। রাউজানের পূজা মন্ডপ গুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় আলোচনা সভা, পূজা, প্রসাদ বিতরণ,আরতী , চন্ডী পাঠ সহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে এই পূজা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্ডপে মন্ডপে করা হয়েছে আলোকসজ্জার ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গঙ্গা মন্দির, একতা সঙ্গ, পল্লী মঙ্গল সমিতি, মালাকারপাড়া,উওর রাউজান সহ বেশ কিছু মন্ডপে দুর্গাপূজার এবারের আয়োজন একটু ব্যতিক্রমধর্মী। মণ্ডপজুড়ে আলাদা আলাদা কাহিনীর ভিত্তিতে প্রতিমা সাজিয়ে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে।
ভক্তদের নতুন কিছু উপহার দিতে দিন রাত কাজ করেছেন স্ব স্ব পুজা কমিটি । এ সময় উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠে শিশু,কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। প্রায় প্রতিটা মন্ডপে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায় । মন্ডপে পূজা দেখতে আসা কয়েকজন ভক্তের সাথে কথা হলে তারা প্রতিনিধি রয়েল দত্তকে বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজায় সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয় । তাই পূজা দেখতে ছেলেমেয়ে নিয়ে বের হয়েছি। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন ঘোড়ায় চেপে যাবেন ও ঘোড়ায় চেপে। পুরাণ অনুযায়ী, ব্রহ্মার বর পেয়ে মানুষ ও দেবতাদের অজেয় হয়ে উঠেছিলেন মহিষাসুর। ফলে তাকে পরাজিত করার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর যে মহামায়ারূপী নারী শক্তি তৈরি করেন তিনিই দেবী দুর্গা।