প্রস্তুত এশিয়ার সর্ববৃহৎ দূর্গা মন্দির হাকিমপুর শিকদার বাড়ি।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির বাগেরহাটের হাকিমপুর শিকদার বাড়িতে আগামীকাল শুক্রবার (২০ই অক্টোবর) ষষ্টি পূজার মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই দুর্গোৎসব শুরু হবে।
দর্শনার্থী ও ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ৮২টি সিসি ক্যামেরা ও মন্ডপের চারপাশে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা এবং মন্দিরের পাশে পর্যাপ্ত শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। এতে দর্শনার্থীদের কোনো সমস্যা না হবেনা। শুধু তাই নয়, লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের নির্বিচ্ছিন্ন মোবাইল সংযোগের সুবিধার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও রাখা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শতাধিক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৬৮জন আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি এই চার যুগের বিভিন্ন দেবদেবীদের সমান্বয়ে ৫০১টি প্রতিমা দিয়ে জমকালো আয়োজন করেছে শিকদার বাড়িতে।
প্রতিবছর শিকদার বাড়ির পুকুরে তৈরি করা হয় একটি আকর্ষণীয় প্রতিমা। এবারও তৈরি করা হয়েছে ৬৫ ফুটের আকর্ষণীয় ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণের প্রতিমা। যা এবারের বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা তৈরী করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৮৫১টি প্রতিমা দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছিল।
এবার দেবী দুর্গার আগমন হবে ঘটকে এবং গমন করবেন ঘটকে। আগামীআগামীকাল শুক্রবার (২০শে অক্টোবর) থেকে মঙ্গলবার (২৪শে অক্টোবর) পর্যন্ত চলবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এদিকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ এ পূজা মন্ডপ দেখতে এরই মধ্যে ভিড় করছে শতশত ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ৬৪ জেলার মানুষের মিলন মেলা হবে শিকদার বাড়ি দূর্গা মন্দিরে। শুধু তাই নয়, প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে দর্শনার্থীদের, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।