বাগেরহাটের শিকদার বাড়িতে ৫০১টি প্রতিমার সমন্বয়ে এশিয়ার সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব পালিত হতে যাচ্ছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর শিকদার বাড়ি।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব প্রতিবৎসর হাকিমপুর শিকদার বাড়ির এই দুর্গা মন্দিরে উদযাপিত হয়।
এবারও ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে হাকিমপুরের শিকদার বাড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হতে যাচ্ছে। এবারের বিশেষ আকর্ষণ ৬৫ ফুটের বিশাল কুম্ভকর্ণ।
ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ দুর্গা মন্দির হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে হাকিমপুরের শিকদার বাড়ি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিবৎসর দর্শনার্থীরা প্রতিমা দর্শণ করতে আসছেন এই মন্ডপে।
সর্বপ্রথম ২০১০ সালে স্বর্গীয় ডঃ দুলাল কৃষ্ণ শিকদার ১৬৫ টি প্রতিমা দিয়ে এই দুর্গোৎসবের আয়োজন শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় প্রতিবৎসর প্রতিমার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পেতে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৮০১ টি প্রতিমা দিয়ে এই মন্ডপে সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব পালিত হয়।
কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে ২০২০, ২১ ও ২২ সালে বৃহৎ পরিসরে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়নি।
মহাভারত ও রামায়ণ থেকে নেওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সদ্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি যুগে যত দেব-দেবী ও অবতার এসেছে তাদের সমান্বয়ে শিকদার বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে ৫০১ টি প্রতিমা। ১৫ জন প্রতিমা শিল্পী দীর্ঘ ৫ মাস ধরে প্রতিমা তৈরীর কাজ করে চলেছেন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
দুর্গা পূজার আয়োজন লিটন শিকদার জানান, এবার ২০২৩ সালে আমরা ৫০১টা প্রতিমা দিয়ে আবারও নতুন করে দুর্গোৎসব পালন করতে যাচ্ছি। এবারের বিশেষ আকর্ষণ ৬৫ ফুট কুম্ভকর্ণ, যা দেখে আপনারা অনেকেই আনন্দিত হবেন।
প্রতিমা শিল্পী বিজয় কৃষ্ণ বাছাড় জানান, আমাদের এখন রং তুলির কাজ সমাপ্তির পথে, সাজসজ্জাও প্রায় সমাপ্তির পথে, এখন মেইন দুর্গার কাজ চলছে। আশা করি দু-একদিনের ভিতরে আমরা কাজ শেষ করতে পারবো। অন্যান্য বছরের তুলনায় আমাদের হাতের কারুকার্য আরো ভালো দিতে পেরেছি। আশা করি ভালো লাগবে। আমরা ১৫ জন শিল্পী বৈশাখ মাস থেকে শুধু করে পুরো ৫ মাস কাজ করছি।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসা একজন জানান, আমরা প্রতিবছরই আসি এখানে প্রতিমা দেখতে। খুবই দৃষ্টিনন্দন পূজা। তো অনেক ভিড় হয় বলে পূজোর সময় আসিনি এখন আসছি। প্রতিমাগুলো খুবই ভালো হইছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে বাগেরহাটের হাকিমপুর শিকদার বাড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসবের আমেজে মেতে উঠবে পুরো বাগেরহাট জেলার মানুষ, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।